পুূর্বপশ্চিমবিডি:

যুব মানেই তারুণ্যে ভরপুর এক রাশ প্রতিশ্রুতি পূরণের দৃপ্ত শপথে উজ্জ্বীবিত কিছু নরম কোমল মুখ। আমাদের দেশে নারীর অগ্রযাত্রায় বেগম রোকেয়ার মৃত্যুর পরেই আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম অবশ্যই ইতিহাসের পাতায় জায়গা করে নিয়েছে। পুলিশ সেনাবাহিনীসহ প্রতিটি সেক্টরে নারীর সক্রিয় অংশগ্রহণ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে।

দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী হচ্ছে নারী। এই বিশাল জনসংখ্যাকে বাদ দিয়ে দেশের উন্নয়ন কিছুতেই সম্ভব নয়, বুঝতে পেরেছিলেন বিদুষী এই নারী। সকলের নিষেধ এবং নানা প্রতিকূলতাকে উপেক্ষা করে ২০০২ সালে তিনি তার ক্ষুরধার মেধা আর ব্যক্তিত্ব দিয়ে একক সিদ্ধান্তে নারীর ক্ষমতায়নের পদক্ষেপ হিসেবে যুব মহিলা লীগ গঠনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। ১৫ বছর আগে তরুণ মেয়েদের নিয়ে এমন একটি সংগঠন করা কেবল কঠিনই ছিল না বরং তার জন্য অনেক চ্যালেঞ্জিং ছিল, কারণ নিন্দুকেরা ওৎপেতে রইত যদি কোন দোষ খুঁজে পাওয়া যায়!

তার সুচিন্তিত হিসেব এবং চিন্তাধারা যে সঠিক ছিল পরবর্তীতে বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে ‘যুব মহিলা লীগের’ মহিলাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ তারই সাক্ষ্য বহন করে।‘যুব মহিলা লীগ’ আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর অনেক প্রিয় এবং শখেরও, এই কথাটি তিনি বহুবার ভালবাসায় তৃপ্তিতে উচ্চারণও করেছেন।

যুব মহিলা লীগের একজন নেত্রী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, দীর্ঘ ১৫ বছর পরে ওই সময়ের রাজপথ কাঁপানো সাহসী সংগ্রামী নেত্রীরা সময়ের সাথে স্বাভাবিক নিয়মেই জীবনের মাঝপথে কেউবা আরেক ধাপ এগিয়ে দাদী কিংবা নানী হয়ে গেছেন। কিন্তু দুর্ভাগ্য জনক ভাবে নতুন নেতৃত্ব তৈরি হয়নি।

পরিকল্পনা ছিল বয়সে অপেক্ষাকৃত তরুণ ছাত্রলীগ শেষ করে যারা রাজনীতিতে সক্রিয় থাকতে চান তারাই যুব মহিলা লীগের কমিটিতে স্থান পাবে, কিন্তু সেখানে ১২১ জনের কমিটিতে নতুন তারুণ্যে ভরা মুখ দুষ্প্রাপ্য বলেই প্রতীয়মান হচ্ছে। দীর্ঘ দেড় যুগ পেরলেও এবং মাননীয় নেত্রীর ভীষণ প্রিয় হওয়া সত্ত্বেও যুব মহিলালীগ কেন নতুন নেতৃত্ব তৈরি করতে পারলো না, সবার মনে এই প্রশ্নটি ঘুরপাক খেতে শুরু করেছে।

মহিলাদের জন্য মহিলা আওয়ামী লীগ আছে। বয়স্ক নারীরা কেন তবু যুব মহিলা লীগে এই প্রশ্ন উঠেছে। যারা ছাত্রজীবন শেষ করে তরুণ নারী কিন্তু পরিণত বয়সের মহিলা হননি তাদের জন্য যুব মহিলা লীগ গঠন হলেও দুঃখ জনক ভাবে এখানে বয়স্ক মহিলারাই ঠাঁই পেয়েছে বেশি।